বালুরঘাট-হিলি রেলপথ সম্প্রসারণে জমি অধিগ্রহণের জন্য রাজ্যকে রেল দপ্তরের চিঠি
বালুঘাট-হিলি রেলপথ সম্প্রসারণে জমি অধিগ্রহণের জন্য রাজ্যের কাছে চিঠি রেল দপ্তরের
নিজস্ব সংবাদদাতা – বালুরঘাট : একলাখী-বালুরঘাট রেল প্রকল্প তৎকালীন ভারতের মাননীয় রেলমন্ত্রী এ বি এ গনি খান চৌধুরী কর্তৃক প্রস্তাবিত ও উদ্বোধনীত হয়েছিল। তৎকালীন রাজ্য সরকারের জমি জটে দীর্ঘ টালবাহানাতে থমকে যায় একলাখী-বালুরঘাট রেল প্রকল্প। পরবর্তীতে কেন্দ্রে কংগ্রেস সরকারের পর অন্য সরকার আসায় সেই প্রকল্প বিশ বাও জলে চলে যায়।
একলাখি-বালুরঘাট রেলপ্রকল্প মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাড়াচড়ায় আবার কয়েক দশক পরে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। তলানিতে থাকা ফাইল তুলে আনা হয় রেল দপ্তর থেকে। শুরু হয় তদারকির। ঘোষণা করেন তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত অটল বিহারি বাজপেয়ি সরকারের রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একলাখী-বালুরঘাট রেল প্রকল্পের। তবে সেই রেলপথ মালদা জেলার একলক্ষী থেকে বালুঘাট পর্যন্ত হওয়ার পরে ভারতের পূর্ব প্রান্তের শেষ সীমানা হিলি পর্যন্ত সম্প্রসারণের উদ্যোগ থমকে যায়। রেল বাজেটে এর জমি অধিগ্রহণের বরাদ্দের অর্থের পরিমাণ কমে যায়। বন্ধ হয়ে যায় রেলপথ অধিগ্রহণ।
রেলদপ্তর সূত্রে জানা যায়, তারা ইতিমধ্যে রাজ্য সরকারের কাছে হিলি পর্যন্ত রেলপথ সম্প্রসারণের জন্য রেলের জমি অধিগ্রহণের জন্য চিঠি দিয়েছেন। রেলদপ্তর মোট ৩৮ কিলোমিটার রেলপথের জন্য ১৩০ একর জমির প্রয়োজনে চিঠি দিয়েছেন এবং রাজ্য সরকারের কর্তৃক ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে ওই প্রস্তাবিত রেল পথের।
দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক শ্রী বীজিন কৃষ্ণা ওই প্রস্তাবিত রেলপথ প্রসঙ্গে বলেছেন, জমি অধিগ্রহণে রাজ্য সরকারের কোন আপত্তি নেই বলে জানানো হয়েছে। জমি অধিগ্রহণপর্বে সরকারের কিছু প্রস্তাবিত শর্ত দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন জেলা দপ্তরে। জেলাশাসক ঐ শর্তের সম্পর্কে রেলদপ্তরকে জানিয়ে দেবেন বলে জানান।
*-রাজ্য সরকারের শর্ত হল জোর করে অনিচ্ছুক কৃষক বা জমিদাতার কাছে থেকে জমি নেওয়া যাবে না।
*-অধিগ্রহণ শুরু হওয়ার পূর্বেই ৭০ শতাংশ টাকা রেল কর্তৃপক্ষকে জমি কেনার জন্য দিয়ে দিতে হবে।
দক্ষিণ দিনাজপুর তথা বালুরঘাট ও হিলিবাসীর এখন এই একটিই ভয়, রাজ্য সরকারের এই শর্তের জেরে আবার না এই রেল প্রকল্প বন্ধ হয়ে যায়।
রেল আধিকারিক সূত্রে জানা যায়, চলতি অর্থবর্ষে ওই প্রস্তাবিত বালুরঘাট-হিলি রেলপথের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ২০ কোটি টাকা। তবে এই রেলপথ প্রকল্পের বরাদ্দ আরোও বাড়বে এবং ধাপে ধাপে কাজ হবে। সেই সঙ্গে ওই প্রকল্পের জন্য ধাপে ধাপে বরাদ্দের পরিমাণও বাড়বে।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি শ্রী সুকান্ত মজুমদার মহাশয় বলেন, বালুঘাট-হিলি রেলপ্রকল্পের জমির জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে অনেক আগেই চাওয়া হয়েছিল, সঠিক সময়ে প্রশাসন যদি এই প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণের কাজে সহযোগিতা করলে অনেক আগেই কাজ শুরু হয়ে যেত।
Balurghat-Hili Railway – Railway Department Letter to State for Land Acquisition for Balurghat-Hili railway extension of Dakshin Dinajpur District